শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:০৯ পূর্বাহ্ন
সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি ॥
জমে থাকা গ্যাস বিষ্ফোরনের আগুনে সিদ্ধিরগঞ্জ-ফতুল্লা থানা সিমান্তবর্তী এলাকায় একই পরিবারের শিশুসহ ৭ জন আগুনে দগ্ধ হয়েছেন ও একজন নিহত হয়েছেন। নিহতের নাম নূরজাহান বেগম (৭০)।
আহতরা হলেন- নিহত নূরজাহানের ছেলে কিরন (৫০), কিরনের ছেলে ইমন (২২), আপন (৮), কিরনের ছোট ভাই হিরন (৩০), হিরনের স্ত্রী মুক্তা (২০), তার শিশু কন্যা ইলমা (২) ও ভাগিনা কাউছার (১৪)।
জানা যায়, সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ভোরে সিদ্ধিরগঞ্জ-ফতুল্লা থানার সিমান্তবর্তী সাহেবপাড়া এলাকায় ফারুকের ৫তলা বাড়ির নীচ তলায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে আদমজী ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে এবং আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) বার্ণ ইউনিটে পাঠায়। পরে সেখানে চিকিৎসাধিন অবস্থায় গতকাল সোমবার সকাল ১০ টার দিকে নূর জাহান মারা যায়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) সুত্রে জানা যায়, আহত সাত জনের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তারা হলেন- কিরণ, ইমন ও কাওছার।
আদমজী ইপিজেডের ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. শাহজাহান দৈনিক সময়ের আলোকে জানান, গ্যাসের চুলোর বার্ণ সুইচটা চালু রেখে ঘরের সমস্ত দরজা জানালা বন্ধ করা ছিলো। যখন গভীর রাতে গ্যাস বেড়ে যায় তখন ঘরের দরজা জানালা বন্ধ থাকার কারনে পুরো ঘরটিতে গ্যাস জমে থাকে। নিহত নূরজাহান বেগম ভোরে রান্না করার জন্য যখন দিয়াশলাইয়ে আগুন জ্বালায় তখন সাথে সাথেই জমে থাকা গ্যাসে আগুন লেগে যায় এবং পাশে থাকা গ্যাস সিলিন্ডার বিষ্ফোরণ হয়ে পুরো ঘরে আগুন লেগে যায় পরিবারের সবাই দগ্ধ হয়।
তিনি আরো জানান, এই এলাকাতে গ্যাস পিক আওয়ারে কম থাকায় অনেকেই অসাবধানতার কারেনে চুলোর চাবি বন্ধ করেনা। মুলত এই আগুন লাগার কারন হচ্ছে অসাবধানতা। আমরা খবর পেয়ে ভোর ৬ টায় ঘটনাস্থলে পৌঁছিয়ে দুইটি ইউনিট প্রায় ১ ঘন্টা কাজ করে আগুন নিভাতে সক্ষম হই।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া নূর জাহানের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেন।